প্রি-ডায়াবেটিস কী? সুস্থ থাকার উপায়

ছবি: অন্তর্জাল

 

বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। জীবনযাত্রায় অনিয়ম এ রোগের মূল কারণ। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগছে এখন।

ডায়াবেটিস হলো একটি ক্রনিক অবস্থা। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া বা ইনসুলিন কমে যাওয়ার কারণে যে কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।

সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। ছোটবেলায় কারো ডায়াবেটিস হলে তা হলো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন প্রাপ্ত বয়স্করা। তবে প্রি-ডায়াবেটিস সম্পর্কে কি কারও ধারণা আছে?

প্রি-ডায়াবেটিস হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যখন আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা থেকে বেশি থাকে, কিন্তু সেটা এতটাও বেশি না যে একে ডায়াবেটিস রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার একটি বড় লক্ষণ হলো এই প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা। প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে।

শনাক্ত

প্রি-ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পদ্ধতি ডায়াবেটিসের মতোই।

রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পান করিয়ে দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস দুটিই শনাক্ত করা হয়। পরীক্ষার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৫-এর নিচে থাকলে নরমাল হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ৬.৫-এর বেশি হলে পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত এই ৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকলে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। পরীক্ষা করার এই পদ্ধতির নাম ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট।

লক্ষণ

প্রি-ডায়াবেটিসের এমন কোনো লক্ষণ নেই, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করেই আমরা বলতে পারি যে একজন ব্যক্তি এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সাধারণ যে লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখা গিয়ে থাকে সেসবের মধ্যে রয়েছে-

> তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া।

> ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

> ক্লান্তি।

> চোখে ঝাপসা দেখা।

> ঘা শুকাতে সময় নেওয়া।

এগুলো মূলত ডায়াবেটিসের লক্ষণ।

করণীয়

আমরা চাইলেই কিছু নিয়ম মেনে চলে এই শারীরিক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি।

এসব নিয়মের মধ্যে রয়েছে-

> নিয়মিত ব্যায়াম করা।

> অতিরিক্ত পরিমাণে না ঘুমিয়ে নিয়মিত একটা সময়ে পরিমিত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেওয়া।

> ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।

> খাদ্য তালিকায় প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার রাখা। লো কার্ব ডায়েট মেনে চলা।

> ডাক্তার যদি ওষুধ দেয় তবে তা নিয়মমাফিক সেবন করা।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত, রাষ্ট্রপতির শোক

» পাঁচবিবিতে জেন্ডার সমতা ফোরাম গঠনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

» কালের বিবর্তনে ‌হারিয়ে যাওয়া কালি, কলম, ও ‌তাল পাতা 

» এআই প্রযুক্তি টিভি দেখার অভিজ্ঞতা বদলে দিচ্ছে

» সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিক্রয় প্রতিনিধির পরিবারকে ‘নগদ’-এর আর্থিক সহায়তা

» সমসাময়িক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এএমএল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

» আগৈলঝাড়ায় আয়রন ব্রিজে কাঠের পাটাতন: ২০ গ্রামের মানুষ ও যানবাহনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ

» বিমান দুর্ঘটনায় নাহিদ ইসলামের শোক, নেতাকর্মীদের সহায়তার নির্দেশ

» উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে ১৯ জন নিহত

» বিমান বিধ্বস্ত: আহতদের খোঁজ নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্রি-ডায়াবেটিস কী? সুস্থ থাকার উপায়

ছবি: অন্তর্জাল

 

বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। জীবনযাত্রায় অনিয়ম এ রোগের মূল কারণ। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যায় ভুগছে এখন।

ডায়াবেটিস হলো একটি ক্রনিক অবস্থা। এক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া বা ইনসুলিন কমে যাওয়ার কারণে যে কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।

সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। ছোটবেলায় কারো ডায়াবেটিস হলে তা হলো টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন প্রাপ্ত বয়স্করা। তবে প্রি-ডায়াবেটিস সম্পর্কে কি কারও ধারণা আছে?

প্রি-ডায়াবেটিস হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যখন আমাদের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রা থেকে বেশি থাকে, কিন্তু সেটা এতটাও বেশি না যে একে ডায়াবেটিস রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার একটি বড় লক্ষণ হলো এই প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা। প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে।

শনাক্ত

প্রি-ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পদ্ধতি ডায়াবেটিসের মতোই।

রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পান করিয়ে দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস দুটিই শনাক্ত করা হয়। পরীক্ষার পর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৫-এর নিচে থাকলে নরমাল হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ৬.৫-এর বেশি হলে পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত এই ৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকলে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। পরীক্ষা করার এই পদ্ধতির নাম ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট।

লক্ষণ

প্রি-ডায়াবেটিসের এমন কোনো লক্ষণ নেই, যার মাধ্যমে নিশ্চিত করেই আমরা বলতে পারি যে একজন ব্যক্তি এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সাধারণ যে লক্ষণগুলো আমাদের শরীরে দেখা গিয়ে থাকে সেসবের মধ্যে রয়েছে-

> তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া।

> ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

> ক্লান্তি।

> চোখে ঝাপসা দেখা।

> ঘা শুকাতে সময় নেওয়া।

এগুলো মূলত ডায়াবেটিসের লক্ষণ।

করণীয়

আমরা চাইলেই কিছু নিয়ম মেনে চলে এই শারীরিক সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি।

এসব নিয়মের মধ্যে রয়েছে-

> নিয়মিত ব্যায়াম করা।

> অতিরিক্ত পরিমাণে না ঘুমিয়ে নিয়মিত একটা সময়ে পরিমিত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেওয়া।

> ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।

> খাদ্য তালিকায় প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার রাখা। লো কার্ব ডায়েট মেনে চলা।

> ডাক্তার যদি ওষুধ দেয় তবে তা নিয়মমাফিক সেবন করা।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com